Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংষ্কৃতি


 

জাহাঙ্গীর নগর নামের ঢাকা –পাশ্ববর্তী সোঁনার গা বিক্রম্যাদিত্যের আবাসস্থল যেখানে শিক্ষা , সংস্কৃতির চর্চা আদিকালের ইতিহাস।ক্ষমতার আসনের রাজা বাদশা সবার আগ্রহ এই ত্রিভূজ খ্যাত অঞ্চলকে ঘিরে আর যার যার ভাষা , কৃষ্টি, সংস্কৃতির অবস্থান অতি অল্প পরিসরে। এ পরিধি ক্ষীণ। সবাই চায় ক্ষমতা আর শাসন। তলোয়ার আর পেশী শক্তিতে সামাজ্র্য বিজয় ও বিস্তার। কৃতিত্ব সব যেন একার। কোন ভাবেই দেয়া যাবে না ছাড়। ভোগ বিলাসে মত্ত সবাই  যতদিন বেচে থাকা যায়। তাদের সকলেই আনন্দ উল্লাস, শিক্ষাচর্চা , সেবার ধরণ, ধ্যান, জ্ঞান, নগর কেন্দ্রিক।তাদের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে আশ পাশে জীবন জীবিকার জন্যে বসতি গড়ে তুলে অতিসাধারণ ভাবে নিজের জমি ও দশের সেবা করে গেছেন- তাদেরই কিছু অংশ ঢাকার অদুরে বুড়িঙ্গার পাড়ে বসতভিটা স্থাপন করে । তাদের চাহিদা অতি সামান্য, চলাফেরা চলনসই, ব্যবহার অমায়িক, কর্তব্যপরায়ন । এদের সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে গড়ে তুলে ঘরবাড়ী , সমাজ, পাড়া – মহল্লা, গ্রাম। দিনে দিনে বেড়ে ওঠে পরিধি।কিভাবে কোথা থেকে, কার দেওয়া , কোন সংস্করণে এ অঞ্চলের নাম কেরানীগঞ্জ হয় - তার সুনিদিষ্ট ব্যাখ্যা আজও সুস্পষ্ট নয়। কেরানীগঞ্জের মানুষ বহু মাত্রিক গুনের অধিকারী।তার প্রমাণ বিভিন্নক্ষেত্রে পাওয়া যায়। যেহেতু সঠিক তথ্য মেলানো ভার , তদুপরী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষার মর্যাদার ক্ষেত্রে তাদের অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষা প্রসারে হাফেজ পীর মোহাম্মদ, পি,কে রায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।সমকালীন ইতিহাস পর্যালোচনা করে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড: মো: শাহজাহান, অধ্যাপক মীর জাহান, অধ্যাপক হামিদুর রহমান এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । কেরাণীগঞ্জের কীর্তিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা , বিশিষ্ট সাংবাদিক, রবীন্দ্র সঙ্গীতঞ্জ ওয়াহিদুল হক নিজের গুনে কৃতিত্বের জন্যে সারা পৃথিবীতে গুনিজনের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন । চিত্রশিল্পী, একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক ইমদাদ হোসেন নিজের সমুজ্জল।তার কর্মকান্ড আর ত্যাগ কেরাণীগঞ্জ বাসীকে গৌরান্বিত করে রেখেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মহীরূহ, বাউল সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ মালেক দেওয়ান, খালেক দেওয়ান, রাজ্জাক দেওয়ান, পাক ভারত উপমহাদেশে তাদের অবস্থান অতি উচ্চ আসনে সমাদৃত । তারা কেরানীগঞ্জ বাসীকে ধন্য করেন।

 

     বর্তমান অপসংস্কৃতির ডামাতোলের মাঝে কেরাণীগঞ্জের ভাষা, সংস্কৃতি, আবহমান বাংলার কৃষ্টি হারিয়ে যায়নি আর কোনদিন যাবেও না। কারন     “ হলুদ দিয়া পাখি সোনারই বরণ- পাখিটি ছাড়িল কে ” মরমী কবি সিরাজুল ইসলামের অমর সৃষ্টি আজও বাংলার পখে পান্তরে, শহরে বন্দরে, হাটে ঘা্টে, মাঠে এদেশের মানুষের কন্ঠে প্রায়ই শোনা যায়।